যেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতা নাগরিকগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত এবং তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ; এবং
যেহেতু জনগণ প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক ও জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক…
আমরা চাই র্যাডিক্যাল ট্রান্সপারেন্সি
Radical Transparency বা র্যাডিক্যাল ট্রান্সপারেন্সি – নীতিগতভাবে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতাকে নির্দেশ করে। অর্থাৎ, সরকার কিংবা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কী কাজ করছে, কী পরিকল্পনা করছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গের পরিচয় কী ইত্যাদি সবকিছুই জনগণের নজরদারির মধ্যে থাকতে হবে। কেননা, সরকার যদি জনগণের কাছে সৎ না থাকে, জবাবদিহি না থাকে– তবে জনগণ সরকারের ভালো মন্দ বিচার করতে পারবে না। জনগণের স্বার্থের জন্যই সরকারের মধ্যে স্বচ্ছতা দরকার। জনস্বার্থের জন্য প্রযোজ্য – সরকারের এমন প্রত্যেকটি কাজ জনগণের কাছে প্রকাশ করতে হবে। শুধু সরকারই নয়, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও বিভিন্ন বিষয়/অবস্থা বিবেচনায়, জনগণের স্বার্থ অনুযায়ী স্বচ্ছ থাকতে হবে। নীতিগতভাবে, মূলগতভাবে জনগণের কাছে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার আওতায় থাকার এই ধারণাই – র্যাডিক্যাল ট্রান্সপারেন্সি বা বিপ্লবী স্বচ্ছতা।
প্রাইভেসি মানুষের জন্য প্রযোজ্য, আর সরকারের ক্ষেত্রে দরকার স্বচ্ছতা
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের আর্থিক স্বচ্ছতা
যেকোন সরকারের ক্ষেত্রেই স্বচ্ছতা প্রয়োজন। এই লক্ষ্যেই এখানে নিয়মিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের আর্থিক অবস্থা প্রকাশ করা হবে।
আপডেট
১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের তথ্য অধিকার অধিশাখা’র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্য সকল উপদেষ্টার সম্পত্তির বিষয়ে জানতে চেয়ে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদন করা হয়েছে।